টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ৬৭ জন শিক্ষার্থী প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের দাবি, অতিরিক্ত ফি ও সেশন চার্জ না দেয়ায় কর্তৃপক্ষ তাদের পরীক্ষা দিতে দেয়নি। আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা জানায়, ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ১১৫ শিক্ষার্থী রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। তবে ১১৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র ৪৮ জন। বেতন ও সেশন চার্জ না দেয়ায় বাকি ৬৭ জনকে শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
যারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি তাদের মধ্যে নাজমুল হোসেন, রাকিব, সোহান, ইমরান জানায়, নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নেয়া হচ্ছে। অর্থাভাবে আমরা টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। প্রধান শিক্ষক মহোদয়কে আমরা পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দিতে অনুরোধ করতে গিয়েছিলাম। স্যার আমাদের বকাঝকা দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়ে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
পরে পরীক্ষা বঞ্চিত ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাগরদিঘী বাজারের চৌরাস্তা এলাকায় দুপুরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে তাদের বিক্ষোভ। খবর পেয়ে স্থানীর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হুমায়ুন কবির তাদের শান্ত করে স্কুলে ফেরত পাঠান।
এ বিষয়ে সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহমত উল্লাহ বলেন, বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ফি নেয়া হচ্ছে। টাকা পরিশোধ না করলে কোনো শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেয়া দুঃখজনক। কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।