কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক প্রতিবন্ধী শিশুকে (১১) দশ টাকার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ঢালুয়া ইউনিয়নের মগুয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহীম ভূঁইয়ার ছেলে মীর মদন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। ধর্ষক মদন ভূঁইয়া ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী শিশুর সম্পর্কে দাদা বলে জানা যায়। ১৩ জুন সোমবার দুপুরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা ধর্ষিতা প্রতিবন্ধীকে উদ্ধার করে প্রথমে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ’্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ধর্ষিতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষক মীর মদন ভূঁইয়া প্রতিবন্ধী শিশুটিকে বাড়ীর পাশে দোকানের সামনে থেকে ১০টাকা হাতে দিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণ করলে শিশুটির রক্তখরণ শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে শিশুটিকে ঘর থেকে বের করে দেয় ধর্ষণে অভিযুক্ত মীর মদন ভূঁইয়া। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি মদনের ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় এক নারী দেখতে পেয়ে শিশুটির মাকে খবর দেয়। পরে বাড়ীর লোকজন মীর মদন ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসা করলে সে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে বলে জানান ধর্ষিতার চাচাত ভাই। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ধর্ষিতার স্বজনরা।
ধর্ষণে অভিযুক্ত মীর মদন ভূঁইয়ার বাড়ীতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাঙ্গলকোট থানার ইনচার্জ অফিসার ফারুক হোসেন বলে আমি ঘটনাটি শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।