স্টাফ রিপোর্টা:
নেশার টাকা দিতে না পারায় এক গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী, দেবর ও ননদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার মাদারগঞ্জের তেঘরিয়া গ্রামে। নির্যাতনের শিকার কল্পনা বেগম (৩৬) বর্তমানে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। অভিযুক্ত স্বামী রওশন জামাল (৪০) ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে মেলান্দহের মাহমুদপুর গ্রামের মমতাজ মন্ডলের মেয়ে মোছা. কল্পনা বেগম এর বিবাহ বিবাহ হয় মাদারগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের শরীফ উদ্দিন (বেলেনারী) এর ছেলে মো. রুশন জামালের সাথে। বিবাহের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুক ও নেশার টাকার জন্য কল্পনা বেগমকে অমানবিক নির্যাতন করে আসছে মাদকাশক্ত স্বামী রওশন জামাল। স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য শালিশ হলেও কোন ফল পায়নি কল্পনার পরিবার। কল্পনার পিতার নিকট থেকে বিবাহের পর বেশ মোটা অংকের যৌতুকও নেয়।
কল্পনা বেগম ও তার মেয়ে জানান, মঙ্গলবার রওশন জামাল নেশার টাকা দাবী করে স্ত্রী কল্পনা বেগমের কাছে সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে ঘরে আটকে রাখে। পরে রওশন জামালের সাথে ছোট ভাই রশিদ জামাল (৩৫) ও স্বামী পরিতেক্তা রেখা বেগম (৪৫) মিলে ব্যপক নির্যাতন করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে কল্পনা বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
পরে কল্পনার স্বজনরা মাদারগঞ্জ থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কল্পনা বেগমকে উদ্ধার করে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করে। স্বজনরা কল্পনা বেগমকে আশংকাজনক অবস্থায় মেলান্দহ হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি আরোও জানান, তার একটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। রওশন জামাল কোন উপার্জন করেনা ফলে তাদের অনেক কষ্টে দিন কাটে এর পরেও যখন নেশার টাকা দাবী করে।
বিষয়টি নিয়ে কল্পনা বেগমের ভাই রমজান আলী জানান, আমরা বর্তমানে রোগী নিয়ে ব্যস্ত আছি রোগী একটু সুস্থ্য হলেই আমরা মামলা দেয়র করবো।