প্রতীক্ষায়
ইয়াসমীন আরা মমতাজ ট্রফি
আবার যদি কোন এক বসন্তের সমীরণে
তোমার সাথে দেখা হয় অকস্মাৎ –
নিগূঢ়তা ভেঙে নিজের অস্তিত্ব বিলিয়ে দিব অনাগত বাসন্তিকগানের কাব্যিক ছোঁয়ার মাঝে।
আবার হঠাৎ যদি দেখা হয় কোন এক
নিরাবরণ হিমশীতল প্রাত-প্রতূষে,
ভোরের শিশিরভেজা বিন্দুর মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকব তোমার হ্নদয়ে,পরজীবী হয়ে থাকব অনন্তকাল।
গড়
যদি কখনও হেমন্তের কোন এক সোনাঝরা দিনে আচমকা দেখা হয় তোমার সাথে-
সোনালী মাঠের উপর গড়ে তুলবো আমাদের এঁকেবেঁকে যাওয়া জীবনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পৃথিবী।
আবার যদি শরতের কোন এক গোধূলির মায়াবী সন্ধ্যায় তোমার সাথে দেখা হয় সহসাই-
ভাদ্রের পূর্ণিমার অপরুপ মনোলোভা জোৎস্নার আলোতে নিজেদের ভাসিয়ে দেব আজন্মলালিত প্রত্যাশিত এই স্বপ্নীল পৃথিবীতে।
হঠাৎ করে যদি কোন এক প্রশান্তির বর্ষায় তোমার সাথে দেখা হয়েই যায়-
বর্ষা জলে ভিজবো দু’জন প্রমত্তা নদীর মতো দু’কূল ছাপিয়ে নিভৃতে -নিরবে।
কদমের ছোঁয়ায় গড়বো বৈচিত্র্যময় ভালোবাসার ধরিত্রি সুনিপুনহস্তে।
কখনও আবার যদি অপ্রত্যাশিতভাবে দেখা হয়েই যায় রৌদ্রঝরা বোশেখের কোন এক ক্লান্ত বিকেলে –
কালবৈশাখী ঝড়ের মতো ছিনিয়ে আনবো তোমার জীবনের পালা বদলের খেলায় হারিয়ে যাওয়া মৃতপ্রায় পুনরুত্থিত ঘর-গেরাস্থালীর গল্প।।
একজীবনে বলা না বলা কথাগুলো অব্যক্ত থেকেই গেল হ্নদপিন্ডের এক অজ্ঞাত গোপন প্রকোষ্ঠে।
তবে প্রকৃতির কাছে প্রার্থনা –
তোমার ভালবাসায় আগলে রেখো
আমাদের নির্মল শাশ্বত সুন্দর অনুভূতিগুলোকে।।
আর যদি কখনও দেখা নাই বা হোল
মোহনীয় মায়ায় আবিষ্ট হয়ে
প্রতীক্ষার প্রহরে প্রহরে নিজেকে সঁপে দেব অনন্তকাল বিষন্ন এই পৃথিবীতে।।
(ওয়ারেস আলী)