শোর সদরের সালতা গ্রামের কৃষক মিনারুল হত্যা মামলায় হাফিজুর রহমানের মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। দণ্ডিত হাফিজুর রহমান সদরের ওসমানপুর গ্রামের চান্দালী মোল্লার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি অ্যাডভোকেট এম. ইদ্রিস আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত মিনারুল ইসলামের বাড়ি হাফিজুর রহমানের বাড়ি একই এলাকায়। মিনারুল দর্জি কাজ শিখতে হাফিজুরের বাড়িতে যেত। বাড়িতে যাতায়াতের সূত্র ধরে হাফিজুরের স্ত্রীর সাথে মিনারুল প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একদিন রাতে হাফিজুর বাড়িতে এসে আপত্তিকর অবস্থায় মিনারুলকে ধরে ফেলে। এনিয়ে সংসারে অশান্তি শুরু হলে হাফিজুর তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়। পরে হাফিজুর বিয়ে করলেও প্রথম স্ত্রীর কথা সে ভুলতে পারে না। হাফিজুর তার সংসার ভাঙার প্রতিশোধ হিসেবে মিনারুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট রাতে হাফিজুরকে বাড়ি থেকে ডেকে পাশের বাগানে নিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
রাতে মিনারুলকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করে বাগান থেকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যায় মিনারুল। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই আকতারুজ্জামান বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এআই জিয়াউর রহমান আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমান কারাগারে রয়েছে।